প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয় বিশাল এক মানুষের ঝাঁক, কিন্তু তারপরই নজরে পড়ে এটি একটি রেলগাড়ি৷ ইঞ্জিনের সামনে, পাশে, ছাদে অসংখ্য মানুষ৷ ট্রেনটি প্রায় দেখাই যাচ্ছে না৷ কিন্তু খুব খেয়াল করে দেখুন একটা মানুষের মুখেও কিন্তু বিরক্তির কোনো ছাপ নেই৷
বিমান দেখায় আনন্দ
বিমান ওঠানামা দেখে যে কেউ আনন্দ নিতে পারে বিশ্বের কজন সেটা জানে! কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ঠিক সেটাই করছে৷ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশে বিমান ওঠানামা দেখতে জড়ো হয়েছে উৎসাহী জনতা৷
হকারের আনন্দ
ইনি একজন পত্রিকার হকার৷ কিন্তু দেখুন, কি অপরূপ হাসি তাঁর চোখেমুখে! দেখে মনেই হচ্ছে না যে, জীবন নিয়ে তাঁর কোনো দুঃখবোধ আছে
ছবিতে ইতিহাস
এক বিশাল গাছের শেকড় আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছে বহু বছরের পুরনো ঝালকাঠির ‘কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি’৷
পাখিদের স্বর্গ
বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ৷ তবে পিছিয়ে আছে নেপাল ও ভুটানের চেয়ে৷ কিন্তু এতে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷
অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিসের ‘বিশ্ব শান্তি সূচক’ অনুযায়ী ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম৷ বাংলাদেশের এ অবস্থান ‘মধ্যম’ পর্যায়ের বলে তাদের মূল্যায়নে বলা হয়েছে৷
সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়৷ সেখানে ভুটান ও নেপাল যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷ তবে পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে৷
সূচকে ১৪৩তম অবস্থানে রয়েছে ভারত৷ আর ১৫৪তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়৷
শীতে পাখিদের কলকাকলি থেমে গেলেও বসন্তের শুরুতেই আবার তাদের গানে মুখরিত হয়ে ওঠে বনভূমি৷ এই ঋতুতে কালো কাঠঠোকরা তার সঙ্গী খোঁজা শুরু করে৷ এই উদ্যানে ১৮৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে৷
ইলিশ রক্ষায় বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ
সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ৷ আর দেশের মোট মাছের ১১ শতাংশই ইলিশ৷ বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ জেলে আছেন৷ এছাড়াও প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ইলিশ৷ মাছ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে৷
পোশাক খাত থেকে আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা
চীন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের দিকে নজর দেয়া শুরু করেছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পোশাক খাতের নেতারা৷তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ পোশাক রপ্তানি বছরে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্তমান রপ্তানির তুলনায় দ্বিগুণ৷ তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে উৎপাদনের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে৷
‘মেড ইন বাংলাদেশ’
রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷
23.684994
90.356331