Tag Archives: Bangladesh

বাংলাদেশ

মহিষ ষাঁড় পালন কেন্দ্র স্থাপিত হচ্ছে কোথায় ?

উঃ সাভার , ঢাকা

২০১০ সালের মার্চ পর্যন্ত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে শান্তিরক্ষী প্রেরণে শীর্ষ দেশ কোনটি ?

উঃ বাংলাদেশ

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রথম নারী পরিচালক কে ?

উঃ অধ্যাপিকা হান্নানা বেগম

রোগতত্ত্ব রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সিটিউট (আইইডিসিআর)কোথায় অবস্থিত ?

উঃ মহাখালী, ঢাকা

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অবস্থিত দেশের প্রথম হাইটেক পার্ক কোন মন্ত্রনালয়ের অধীনে ?

উঃ বিজ্ঞান এবং তথ্য ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয়

মহাবিপর্যয়ের মুখে সুন্দরবন

৯ ডিসেম্বর, মঙ্গলবার ভোরের দিকে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের কাছে শেলা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের ফার্নেল ওয়েলবাহী ট্যাংকার ডুবির পর, ছড়িয়ে পড়েছে তেল৷ সুন্দরবনের ৩৪ হাজার হেক্টর এলাকায় এরই মধ্যে তেল ছড়িয়ে পড়েছে বলে বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন৷

পরিবেশ বিপর্যয়

তেল ছড়িয়ে পড়ায় পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কা প্রকাশ করে বন সংরক্ষক জানিয়েছেন, এই তেলের ক্ষতিকর প্রভাব এখনই বোঝা যাবে না৷ একটু সময় লাগবে৷ তেলের কারণে সুন্দরবনের গাছপালা আস্তে আস্তে শুকিয়ে মারা পর্যন্ত যেতে পারে৷ সুন্দরবনের নদী-খালে অন্তত ৩০০ প্রজাতির মাছের বিচরণ রয়েছে ছোট প্রজাতির কিছু মাছ এরই মধ্যে মরতে শুরু করেছে৷

বিশ্ব ঐতিহ্যের জন্য বিপর্যয়

পরিবেশ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তেল ক্রমেই যেভাবে ছড়িয়ে পড়ছে, তাতে এই বিশ্ব ঐতিহ্যের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে৷

যেসব এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে তেল

শেলা নদীর মৃগমারী, আন্ধারমানিক, তাম্বুলবুনিয়া, হরিণটানা, শুয়ারমারা, জিউধরা, ধানসাগর, নন্দবালা, হারবাড়িয়া, চাঁদপাই স্টেশন কার্যালয়, মরাপশুর, জংড়া, করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্র, ঢাংমারী, ঘাঘড়ামারী ও লাউডোব এলাকায় তেল ভাসছে বলে জানিয়েছেন বন কর্মকর্তারা৷

গাছে গাছে তেলের আবরণ

বন কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সুন্দরবনের ওই সব এলাকায় সুন্দরী গাছ বেশি৷ শেলা নদী সংলগ্ন বনের সুন্দরী, কেওড়া, বাইনসহ গুল্ম জাতীয় গাছের পাতায় তেলের আবরণ লেগে রয়েছে৷ কোথাও কোথাও জোয়ারের পানি বনভূমিতে উঠে বনের গাছের শ্বাসমূলে লেগে আছে তেল৷

এর আগে ২০১৪ সালের ৯ ডিসেম্বর সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাঙ্কার এমভি ওটি সাউদার্ন স্টার সেভেন ডুবে যায়৷ চলতি বছরের ৩ মে সুন্দরবনের শরণখোলা রেঞ্জের ভোলা নদীতে ডুবে যায় সার বোঝাই কার্গো জাহাজ এমবি জাবালে নূর৷ ১১ সেপ্টেম্বর সুন্দরবনের শরণখোলার রেঞ্জের ভোলা নদীতে ডুবতে-ডুবতে অন্য কার্গোর সহায়তায় মংলায় পৌছাতে সক্ষম হয় অন্য একটি কয়লা বোঝাই কার্গো জাহাজ৷

নতুন ভাবে দেখুন বাংলাদেশকে

নতুন ভাবে দেখুন বাংলাদেশকে

প্রথম দৃষ্টিতে মনে হয় বিশাল এক মানুষের ঝাঁক, কিন্তু তারপরই নজরে পড়ে এটি একটি রেলগাড়ি৷ ইঞ্জিনের সামনে, পাশে, ছাদে অসংখ্য মানুষ৷ ট্রেনটি প্রায় দেখাই যাচ্ছে না৷ কিন্তু খুব খেয়াল করে দেখুন একটা মানুষের মুখেও কিন্তু বিরক্তির কোনো ছাপ নেই৷

0,,16902004_303,00

 বিমান দেখায় আনন্দ

বিমান ওঠানামা দেখে যে কেউ আনন্দ নিতে পারে বিশ্বের কজন সেটা জানে! কিন্তু দেখুন বাংলাদেশের মানুষ কিন্তু ঠিক সেটাই করছে৷ ঢাকা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে রানওয়ের পাশে বিমান ওঠানামা দেখতে জড়ো হয়েছে উৎসাহী জনতা৷

0,,16902058_302,00

হকারের আনন্দ

ইনি একজন পত্রিকার হকার৷ কিন্তু দেখুন, কি অপরূপ হাসি তাঁর চোখেমুখে! দেখে মনেই হচ্ছে না যে, জীবন নিয়ে তাঁর কোনো দুঃখবোধ আছে

0,,16902099_302,00

ছবিতে ইতিহাস

এক বিশাল গাছের শেকড় আষ্টেপৃষ্টে ধরে রেখেছে বহু বছরের পুরনো ঝালকাঠির ‘কীর্তিপাশা জমিদার বাড়ি’৷

0,,16902096_302,00

পাখিদের স্বর্গ

বিশ্ব শান্তি ও স্থিতিশীলতার সূচকে ভারত, পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের চেয়ে ভালো অবস্থানে আছে বাংলাদেশ৷ তবে পিছিয়ে আছে নেপাল ও ভুটানের চেয়ে৷ কিন্তু এতে উল্লসিত হওয়ার কিছু নেই বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা৷

অষ্ট্রেলিয়ার সিডনিভিত্তিক গবেষণা সংস্থা ইনস্টিটিউট ফর ইকনোমিকস অ্যান্ড পিসের ‘বিশ্ব শান্তি সূচক’ অনুযায়ী ১৬২টি দেশের মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান ৯৮তম৷ বাংলাদেশের এ অবস্থান ‘মধ্যম’ পর্যায়ের বলে তাদের মূল্যায়নে বলা হয়েছে৷

সার্কভুক্ত দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান তৃতীয়৷ সেখানে ভুটান ও নেপাল যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে৷ তবে পাকিস্তান, ভারত ও আফগানিস্তান বাংলাদেশের চেয়ে পিছিয়ে আছে৷

সূচকে ১৪৩তম অবস্থানে রয়েছে ভারত৷ আর ১৫৪তম অবস্থানে থাকা পাকিস্তান শান্তি ও স্থিতিশীলতার দিক থেকে খুবই খারাপ অবস্থায় রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়৷

0,,17457785_303,00

শীতে পাখিদের কলকাকলি থেমে গেলেও বসন্তের শুরুতেই আবার তাদের গানে মুখরিত হয়ে ওঠে বনভূমি৷ এই ঋতুতে কালো কাঠঠোকরা তার সঙ্গী খোঁজা শুরু করে৷ এই উদ্যানে ১৮৯ প্রজাতির পাখি রয়েছে৷

0,,18336905_303,00

ইলিশ রক্ষায় বিশ্বের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত বাংলাদেশ

সরকারি হিসেব অনুযায়ী, বাংলাদেশের মোট দেশজ উৎপাদনে ইলিশের অবদান ১ শতাংশ৷ আর দেশের মোট মাছের ১১ শতাংশই ইলিশ৷ বাংলাদেশে প্রায় পাঁচ লাখ জেলে আছেন৷ এছাড়াও প্রায় ২০ লাখ মানুষের জীবিকার প্রধান উৎস ইলিশ৷ মাছ বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ফিশ-এর তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের মোট ইলিশের ৬৫ শতাংশই উৎপাদিত হয় বাংলাদেশে৷

0,,18794666_303,00

পোশাক খাত থেকে আয় দ্বিগুণ করার পরিকল্পনা

চীন তৈরি পোশাক খাতের ব্যবসা থেকে ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতের দিকে নজর দেয়া শুরু করেছে৷ এই পরিস্থিতি থেকে লাভবান হতে বাংলাদেশ এরই মধ্যে প্রস্তুতি নেয়া শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন পোশাক খাতের নেতারা৷তৈরি পোশাক শিল্পের মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ-র সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ডয়চে ভেলেকে জানিয়েছেন, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশ ২০২১ সাল নাগাদ পোশাক রপ্তানি বছরে ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার পরিকল্পনা নিয়েছে, যা বর্তমান রপ্তানির তুলনায় দ্বিগুণ৷ তবে অর্থনীতিবিদরা মনে করেন এই সুযোগ কাজে লাগাতে হলে উৎপাদনের ধরনে পরিবর্তন আনতে হবে৷

0,,18768077_303,00

‘মেড ইন বাংলাদেশ’

রানা প্লাজা বিপর্যয় বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গার্মেন্টস রপ্তানিকারক দেশ বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের মনোযোগ আকর্ষণ করেছে৷ চালু হয়েছে ‘‘অ্যাকর্ড’’, ‘‘অ্যালায়েন্স’’ এবং ‘‘টেক্সটাইলস পার্টনারশিপ’’ মতো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সহযোগিতা, যার উদ্দেশ্য হলো বাংলাদেশের গার্মেন্টস ওয়ার্কারদের কাজের পরিবেশ ও নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা৷

0,,18768084_303,00

|| হারানো শৈশব ||

আর একটাবার ফিরে পেতে চাই হারানো শৈশব

আর একটাবার ফিরে পেতে চাই হারানো শৈশব

আমি আমার পিতৃকুল এবং মাতৃকুল উভয়দিকেই প্রথম সন্তান হিসেবে জন্মাইয়া ছিলা্ম।  ইহার দরুন আমিই ছিলাম সক্কলের চক্ষের মনি।যেথা আমার মাতা মহের বাটী সেথা সবে সুখে শান্তিতে বসত করিত।  সে এক প্রত্যন্ত পাড়া গাঁ, শহর হইতে অনেক দূরে। ছবির ন্যায় সাজানো সেই গ্রাম খানি। বাঁশঝার,সতেজ সবুজ ধানের খেত,বাটির পাশ দিয়া সদা বহমান একখানি নদী।  বিচিত্র সব পাখ পাখালির পসরা বসিত। ঝোপ ঝাড় আর নানা গাছ গাছালিতে পূর্ণ ছিল তাহার চারপাশ।  বাটীর ভিতর বড় ঊঠান,পাশে মস্ত দীঘি দেখিয়াছি সঁন্ধ্যা নামিলে খুব ভাল লাগিত। পাড়াগাঁর নিস্তব্ধতা আর রাত্রির আধাঁর পৃথিবীকে আরও মায়াবী করিয়া তুলিত।  তখন মনে হইত পৃথিবীতে হাজার বছর বাঁচিয়া থাকি।  জোনাকি পোকার টিপটিপ আলো মনে এক্ষণও জলিয়া রহিয়াছে যেন। পল্কা বাতাস বৃক্ষের পত্র দুলাইয়া মৃদু বহিয়া গেলে হিয়া জুড়াইত।আমি দুইতলার চিলে কোঠা ঘরে যাইয়া আসন পাতিয়া একাকী বসিতাম।  চুপ্টি করিয়া থাকিতেই যেন সুখী লাগিত।  অপেক্ষা করিতাম কবে সেই খানে যাওয়া হইবে।  মন চাহিলেই সেইখানে যাইবার সুযোগ মিলিত না।  অপেক্ষা করিতে হইত বিদ্যালয় ছুটি হইবার জন্য।

11923223_418970241644250_3666240473710511411_n

আমার বিদ্যালয়ে যাইবার কড়াকড়ি ছিল।  একদিন বিদ্যালয় কামাই হইলে বড় দায়।শিক্ষক শিক্ষিকা আড়ষ্ট হইতেন ।  সপ্তাহে একদিন ড্রিল ক্লাস করিতে হইত। সেইদিন ভিন্ন রকমের জামা পরিয়া যাইবার নিয়ম ছিল। কিন্তু আমি প্রায়শ ভুল করিয়া ফেলিতাম । ড্রিলের দিন সকালের দুই ক্লাস করিতে হইত না। সাবাই বিদ্যালয় মাঠে যাইয়া নানা কসরত করিত। উহার আগে ড্রিল মাস্টার তাহার যথা সাধ্য উচ্চ মানের কসরত প্রদর্শন করিয়া দেখাইত,তাহার পরে ওইসব আমাদের করিবার নিয়ম ছিল। উহাতে শিক্ষক সাহেবের চাকুরি বোধ করি টিকিয়া গিয়াছিল। আমি হল্প করিয়া বলিতে পারি তাহার চাকরীর প্রতিদ্বন্দী বা হুমকি হইবার আর কেহই ছিল না। কেহ সেই বিচিত্র কসরত দেখিয়া দম ফাটাইয়া হাসিয়া ফেলিলে তাহার কপালে মেঘের ঘনঘটা দেখা যাইত।“কে হাসিল রে” বলিয়া ব্যাঘ্রের ন্যয় হুঙ্কার দিয়া উঠিতেন। তারপর উপযুক্ত ছাত্রের মুখ খানি আবিষ্কার করিতে সমর্থ হইলে শিক্ষক ছাত্রের চার নেত্র মিলন হইত। আর ছোট্ট বালকের পরান পাখি যেন উড়িয়া যাইত ভয়ে। মাষ্টার মশাই বত্তিশ দাঁণ্ত প্রসারিত করিয়া এমন বিকট ধমক মারিতেন যে সেই আওয়াজ ছাত্রদের লাইন ছাড়াইয়া গিয়া বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর স্পর্শ করিয়া প্রতিধ্বনিত হইয়া ফিরিয়া আসিত।ব্যাপারটা বুঝতে কষ্ট হইত না আমাদের,স্যারের জ্বালা কি? এম্নিতেই সারা সপ্তাহে একদিন ড্রিল ক্লাস,উহাউ যদি ঠিক মত না হয়! চাকুরী থাকিয়াও বেকার। প্রিন্সিপাল আর বাকি শিক্ষক শিক্ষিকা মহোদয় বিকট মুখ করিয়া এই সম্বন্ধীয় কার্যাদি অবলোকন করিতেন এক সারিতে সারি বদ্ধভাবে দাড়াইয়া।
যাহা হউক শেষ অবধি সেথা গাঁয়ে যাইবার মওকা মিলিল। ছোট মামা আমাদের বাড়ি আসিয়া হাজির হইলেন। দু’চার দিন থাকিয়া আমাকেও যাইবার সময় তৎসঙ্গে লইয়া যাইবার বায়না ধরিলেন। আমার পিতৃদেব উহাতে কিঞ্চিত আপত্তি জানাইলেন বটে তবে তাহার আপত্তি টিকিল না। বাড়ি যাওয়া হইবে ভাবিয়া আমার চিত্ত চঞ্চল হইল। অবশেষে মামা ভাগ্নে বাটি পৌছাইয়া গেলাম। আহা! কি সুখ। কেবল সুখ। কত সুখ! এক কেজি না দুই কেজি তাহা বাটখারায় ওজন না দিয়া বলিতে পারিব না। তবে হৃদয় ভরা সুখ বুঝিতে পারিলাম।

আমার সে সুখ সেবার যেন কপালে সহিল না। আমার মাতৃ দেবী আমার আগমনের কয়দিন পরেই আসিয়া হাজির হইলেন । এইবার স্বাধীন বিহঙ্গ হইতে কিছুটা পরাধীন হইলাম । এখন আর ফুরৎ ফুরুৎ এদিক সেদিক যাইবার উপায় হয় না।তাহাতে কি হইয়াছে। মামা ভাগ্নে এক সঙ্গে থাকিলে পরোয়া কি ! ভাবিয়া গেলাম টুর্নামেন্ট খেলিতে। ধান কাটা হইয়া গিয়াছে। সেথা এখন মাঠ ভাবিয়া বাইশ জনে বল কাড়া কাড়ি চলিতে লাগিল ।উহা যে ফুটবল খেলা তাহা বুঝিতেই পারিতেছিলাম না।বল কেবল পায়ে থাকার কথা,কিন্তু না তা মাঝে মাঝে হাতেও খেলা হইতেছিল,ফুটবল হইতে খেলা ক্রমেই হ্যান্ডবল ভলিবল এর রুপ ধারন করিল।
ফুটবল আন্তরজাতিক খেলা বলিয়া জানিতাম । কিন্তু গাঁও গেরামে সেই খেলার নিয়ম রাগবি খেলার রুপ লইয়াছে ভাবিয়া বিস্মিত হইলাম। যাহা হোক ফুটবল খেলার নামে বিচভলিবল টাইপ রিমিক্স খেলা চলিতেছে। কখন পায়ে কখন হাতে খেলা তাই বোঝা মুশকিল ঠেকিতেছিল ।এদিকে খেলা বেশ জমিয়া উঠিয়াছে। ম্যারাডোনা খেলার এই রুপ দেখিলে হয়তো আনন্দ অনুভব করিতেন,কেননা তিনি হাত দিয়া গোল করিয়া নামদার হইয়াছিলেন।আর পেলে এই রুপ ফুটবল দেখলে হয়তো কষ্টে মূর্ছা খাইতেন। আমি তবু খুব মন দিয়া খেলিতেছি। মামা কৌশল গত কারনে আমার বিপক্ষে খেলিতেছিল । সেই সময় এক দুর্বিপাক ঘটিল । কাহারো গরু মাঠে চড়াইয়া শেষে আপন মনে গোয়ালে ফিরিয়া যাইতেছিল । কি ভাবিয়া গরুর চিত্ত চঞ্চল হইয়া উঠিল। আমি সেদিকে লক্ষ করিয়া উঠিতে পারিনাই। গভীর মনেযোগ দিয়া বল দখলে রাখিতে ব্যাস্ত।

কেউ কিছু বলিবার আগে আর আমিও কিছু বুঝিবার আগেই আমার পাশ্চাত দেশে স্ববেগে একটা কিছু ধাক্কা অনুভব করিলাম। আমার শরীর দুলিয়া উঠিল,আমি হাম্বা ডাক শুনিয়া পিছন পানে তাকাইলাম। ইহা আমি কি দেখিলাম,আহা! তাহার কাজল দিঘীর ন্যায় ডাগড় ডাগড় আঁখি, একেবারে চাঁদ বদন! যাহা দেখিলাম তাহা দেখিয়া আমার পিলে চমকাইয়া গেল,ভ্রু প্রকম্পিত হইল। একটা আস্ত গরু তার দুইটা শিং তাক করিয়া আমাকে গুতা মারিবার জন্য পায়ে মাটি খনন করিতেছে।আমি শ্যাম রাখি না কুল রাখি দশা! আমার পশ্চাত দেশ তথা জান বাঁচাইবার নিমিত্তে দৌড়াইয়া পাগার পার হইবার শেষ চেষ্টা করিলাম।গরু দৌড়ায় আমিও দৌড়াই। স্পেন দেশের কথা আমার মনে ভাসিয়া উঠিল । সেইখানে ক্রুদ্ধ ষাঁড়ের সাথে মানুষের লড়াই হয়।কি কান্ড! স্পেন দেশীয় সেই দৃশ্য যেন দৈবাত বাংলার জমিনে পয়দা হইল। আমার নেত্র স্থির থাকিলেও আমি স্বজোরে ছুটিয়াছি।আমার সামনে জল কাঁদা ,কিছুপর আমি দুই নেত্রে তারাবাতি দেখিলাম।পাখির ন্যায় আকাশে উড়িবার কিঞ্চিৎ অভিজ্ঞতা হইল। আমার পশ্চাত দেশ কিছুটা প্রকম্পিত হইলে আমি আছাড় খাইয়া ভুমিতে গড়াইয়া পড়িলাম।জন্তু জানোয়ারের সাথে মনুষ্য লড়াই। অসম বিভীষিকাময়।

12002140_694816357315095_3097441244200111619_n

সকলেই বিচলিত হইল বটে,কপালে ভাজও ফেলিল বটে কিন্তু কেহই ছুটিয়া সাহায্য করিতে আসিল না।খেলার মাঠ হইতে প্রাক যুগের ময়দান হইয়া গেল। আমাকে বাঁচাইবার আল্লাহ ছাড়া আর কেহ নাই।আমার ভূলোক কাপিয়া উঠিল।অতঃপর নিজেকে হালকা কাঁদা পানিতে খুঁজিয়া পাইতে সমর্থ হইলাম। বাঁচিব কি মরিব জানিনা, তবু আমি সাহস সঞ্চয় করিয়া টিকিয়া থাকিবার চেষ্টাই করিলাম।ওদিকে ষন্ডা গাই ঢুস মারিতে কাঁদায় আসিয়া তাল রাখিতে পারিলনা,আমি সেই সুযোগে তাহার পেট বরাবর একটা ঢাউস লাত্থি মারিয়া দেই।ইহাতে কাজ হইল,গরূ আকাশ জমিন ওলোট পালোট দেখিলো যে চোখ উল্টাইয়া কাত হইয়া পড়িয়া রহিল। সকলেই হই হই করিয়া ছুটিয়া আসিল আমার দিকে। আমার ঠোঁট কাটিয়া রক্ত ঝরিতেছিল।ততক্ষনে চিৎকার চেঁচামেচি শুনিয়া আমার মাতামহের বাড়ি হইতে সকলেই ছুটিয়া আসিয়াছে। আর অনেকেই তামাশা দেখিতেছিল। আমার গর্ভধারিণী আসিয়া সেই দৃশ্য দেখিয়া হতভম্ব ! রুদ্র মূর্তি ধারন করিতেই কেহ কেহ পালাইয়া গেল। কাহার গরু তাহার প্রতি সমন জারি হইল। তাহার চৌদ্দ গুষ্টি উদ্ধার হইবার পালা। তাহার আগে আমাকে নির্দেশ করিয়া তদ মূর্তি ধারন করত: বলিতে লাগিলেন “বেশ হইয়াছে,উহাকে গরুটি মারিল না কেন” ? বলিয়া ফোঁসফাস করিতে লাগিলেন…ওদিকে গরু ভুমিতে পড়িয়া রহিল…আমি এ যাত্রায় বাঁচিয়া গেলাম {সত্য ঘটনা অব্লম্বনে

Art in Bangladesh

 

 

Zainul Abedin, Harvest, oil on canvas, 1934

above and facing page Famine sketches, 1943.

Zainul Abedin (Bengali: জয়নুল আবেদিন; 29 December, 1914 – 28 May, 1976)

বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। জয়নুল আবেদীন (জন্ম: ২৯ ডিসেম্বর, ১৯১৪ – মৃত্যু: ২৮ মে, ১৯৭৬)

বাংলাদেশের বিখ্যাত চিত্রশিল্পী। submergedbooster

Bangladesh has a rich tradition of Art. Specimens of ancient terra-cotta and pottery show remarkable artistry. Modern painting was pioneered by artists like Zainul Ahedin, Qamrul Hasan. Anwarul Haque, Shafiuddin Ahnied, Shafiqul Amin, Rashid Chowdhury and S.M. Sultan. Zainul Ahedin earned worldwide fame by his stunning sketches of the Bengal Famine in 1943…………….